সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান (Systematic Investment Plan) মানেই হলো এসআইপি। সাধারণত মিউচুয়াল ফান্ডে (Mutual Fund) বিনিয়োগ করা হয় এসআইপির (SIP) মাধ্যমে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। সেটা হতে পারে সাপ্তাহিক, মাসিক, ত্রৈমাসিক বা বার্ষিক।
ক্রমশ বাড়ছে এ দেশে এসআইপির জনপ্রিয়তা। কারণ এটা নেট অ্যাসেট ভ্যালুর বৃদ্ধি বা হ্রাসকে গড় করে অর্থাৎ এতে টাকার গড় খরচের সুবিধা পাওয়া যায়। বিনিয়োগকারী এর ফলে একটি নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিনিয়োগ করতে পারেন, সময় বা বাজারের অস্থিরতা সম্পর্কে না ভেবে।
এই ৬ কৌশলে ফিক্সড ডিপোজিটের রিটার্ন বাড়বে বহু গুণ! কোন কোন ব্যাঙ্কে SBI-এর থেকে বেশি সুদ?
এসআইপি (SIP) রিটার্ন গণনা:
এসআইপি ক্যালকুলেটর মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগে কত রিটার্ন মিলতে পারে, সেই গণনায় চক্রবৃদ্ধি নীতি অনুসরণ করে। সহজ ভাষায়,একজন বিনিয়োগকারী তত বেশি লাভ পাবেন,যত বেশি বিনিয়োগ করবেন।
এসআইপি (SIP) ক্যালকুলেটর:
‘ইনভেস্টমেন্ট টুল’ যা এসআইপির মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Fund) বিনিয়োগে কত রিটার্ন মিলতে পারে সেটা মূলত এসআইপি ক্যালকুলেটর গণনা করে। যদিও অনুমান পুরোটাই। অনেকগুলো কারণের উপর মিউচুয়াল ফান্ডের রিটার্ন নির্ভর করে।
বড় বদল হেনলি পাসপোর্ট ইন্ডেক্সে! বিনা ভিসাতেই ৫৭ দেশ ভ্রমণের সুযোগ
ব্যাপারটা স্পষ্ট বোঝা যাবে একটা উদাহরণ দিলে। ধরা যাক, কেউ মাসিক ৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলেন ১০ বছর মেয়াদে। ১২ শতাংশ রিটার্ন ধরলে তিনি ১১.৬১ লক্ষ টাকা পাবেন মেয়াদ শেষে। এর মধ্যে সুদ থেকে লাভ ৫.৬১ লক্ষ টাকা (১১.৬১ লক্ষ থেকে ৫০০০x১০x১২ বাদ দিয়ে)। একইভাবে ১৫ বছরের জন্য যদি কেউ বিনিয়োগ করেন, তাহলে ২৫.২২ লক্ষ টাকা হাতে আসবে। এখানে ৯ লক্ষ টাকা (৫০০০x১৫x১২) হলো মোট বিনিয়োগের পরিমাণ), বাকিটা সুদ। অপরদিকে,পাঁচ বছর মেয়াদ বাড়াতেই লাভ দ্বিগুণ হয়ে গেল বিনিয়োগ থেকে।