বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায়! এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে মন্ত্রের মতো কাজ করবে

বিদ্যুৎ বিল দেখে মাথায় হাত!বিদ্যুৎ বিল বেশি আসার কারণ, বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায়|গরম কালে বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ যতটা বেশি আসে, সেই তুলনায় যদিও শীতে খানিকটা কম থাকে। কিন্তু শীতে পাখা না চালিয়েও যদি বিল বেশি আসে, এক্ষেত্রে আপনাকে এমন কিছু টিপস জানানো হবে, যাতে আপনি এসি, ফ্রিজ ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক গ্যাজেট চালালেও ইলেকট্রিক বিল অনেকটাই কম আসবে।কারণ, সাধারণ ভাবে বিভিন্ন বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম চালানোর ফলে বিদ্যুৎ বিল বাড়ছে। সেক্ষেত্রে স্বস্তি মিললেও পকেটে টান পড়ছে মধ্যবিত্তদের। এই সমস্যা থেকে মুক্তির পথ রয়েছে। খুব সাধারণ কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই আপনার বাড়ির বিল আসবে খুবই কম। ফলে পকেটেও টান পড়বে না। কীভাবে নিজের বিদ্যুৎ বিল কমাবেন? জানুন কয়েকটি গোপন উপায়।

প্রতিমাসে হোক বা তিনমাসের, বিরাট ইলেকট্রিক বিল দেখার পড়ে মাথায় হাত পড়তে বাধ্য মধ্যবিত্তের। গরম কালে বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ যতটা বেশি আসে, সেই তুলনায় যদিও শীতে খানিকটা কম থাকে। কিন্তু শীতে পাখা না চালিয়েও যদি বিল বেশি আসে , তাহলে আপনাকে এমন কিছু টিপস জানানো হবে, যাতে আপনি এসি, ফ্রিজ ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক গ্যাজেট চালালেও ইলেকট্রিক বিল অনেকটাই কম আসবে।

CFL বাল্ব

সাধারণ বাল্বের পরিবর্তে কম শক্তি বা পাওয়ারের বাল্ব ব্যবহার করুন। এতে বিদ্যুৎ খরচ কম হবে। আপনার মনে হতেই পারে, তাহলে কী ভাল আলো হবে না? একেবারেই তা নয়, কম পাওয়ারের আলো আপনার ঘরকে ভালরকম আলো করে রাখবে। আপনি CFL বা LED লাইট ব্যবহার করে প্রায় 70% বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারেন।

ফ্রিজার ডিফ্রস্ট রাখুন

যদি আপনার ফ্রিজে প্রচুর পরিমাণে বরফ জমে থাকে, তবে এই বরফের কারণে ফ্রিজের ঠান্ডা হওয়াক ক্ষমতা কমে যায় এবং এটি বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে। তাই, সবসময় ফ্রিজকে ডিফ্রোস্ট করে রাখুন এবং গরম খাবারকে একটু ঠাণ্ডা হওয়ার পরই ফ্রিজে রাখুন। এতে বিদ্যুৎ বিল কম খরচ হবে।

অপ্রয়োজনে বন্ধ রাখুন

টিভি, ল্যাপটপ, মোবাইল চার্জার ইত্যাদি বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করার পরে, অবশ্যই তাদের পাওয়ার সুইচটি বন্ধ করুন। যদি মনে করেন, টিভি দেখা হয়ে গিয়েছে। আর তা আপনি রিমোট দিয়ে বন্ধ করে রেখেছেন। তাহলে সেই অভ্যাস পাল্টে নিন। কারণ আপনার মনে হতে পারে যে, আপনি রিমোট দিয়ে টিভিটি বন্ধ করেছেন। কিন্তু আদতে তা পুরোপুরি বন্ধ হয় না। ফলে বিদ্যুৎ খরচ করে।

এসি চালানোর সময় ঘর বন্ধ রাখুন

আপনি যদি এসি চালান তবে বাড়ির সমস্ত জানালা, দরজা, স্কাইলাইট ইত্যাদি সঠিকভাবে বন্ধ আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন। এসির পরিবর্তে সিলিং ফ্যান বা টেবিল ফ্যান ব্যবহার করতে পারেন ।

বৈদ্যুতিন সামগ্রী কেনার সময় রেটিং দেখে নেওয়া উচিত

যখন কোনও বৈদ্য়ুতিন সামগ্রী কিনবেন তখন অবশ্যই ওই সরঞ্জামের স্টার রেটিং দেখে নেওয়া উচিত। কারণ স্টার রেটিং যত বেশি হবে বিদ্যুৎ খরচ কম হবে। সবসময় চেষ্টা করবেন 5 Star রেটিংয়ের কোনও সরঞ্জাম কেনা। তবে 5 স্টার সরঞ্জামের দাম তুলনামূলক অনেকটাই বেশি। তাই সেক্ষেত্রে অনেকেই 5Star সরঞ্জাম কিনতে ইচ্ছুক থাকেন না।

ব্যবহার না করলে অ্যাপ্লায়েন্সেস বন্ধ রাখুন

যখন কোনও অ্যাপ্লায়েন্সেসের ব্যবহার হচ্ছে না তখন সেই সরঞ্জাম বন্ধ রাখুন। অনেকেই TV বা ফ্রিজ না ব্যবহার করলেও সেগুলি চালিয়ে রাখেন। সেক্ষেত্রে বিদ্যুৎ খরচ হয়। কিন্তু কোনও লাভ হয় না। এমনকী অনেকে বাড়িতে না থাকলেও আলো এবং ফ্যান চালিয়ে রাখেন। সেক্ষেত্রে ওই ধরনের সরঞ্জাম চালিয়ে রাখা মানেই বিদ্যুৎ বিল বাড়বে। তাই কোনও সরঞ্জাম ব্যবহার না করলে তা অবশ্যই বন্ধ করে রাখুন।

AC-র তাপমাত্রা 24 ডিগ্রিতে রাখুন

অনেকেই AC কিনে কম তাপমাত্রায় চালিয়ে রাখেন। অত্যধিক গরমে তা সত্যিই প্রয়োজনীয় কিন্তু এক্ষেত্রে খরচও বাড়ে। কারণ AC-র তাপমাত্রা যত কমানো হয় কম্প্রেসর তত বেশি কাজ করতে শুরু করে। যার ফলে তুলনামূলক অনেক বেশি পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হয়। এই সমস্যা সমাধানে AC সবসময় 24 ডিগ্রি তাপমাত্রায় চালু রাখা উচিত। এতে ঠান্ডা হতে বেশ কিছু অতিরিক্ত সময় লাগলেও বিদ্যুৎ বিল তুলনামূলক অনেক কম হয়। সেকারণে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ AC সবসময় 24 ডিগ্রি বা তার বেশি তাপমাত্রায় চালু রাখা উচিত।

মিটার নিয়মিত পরীক্ষা করুন

কত ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন তা নিয়মিত মিটারে পরীক্ষা করুন। যদি দেখেন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে, তাহলে মিটার ঠিকমতো কাজ করছে কি না তা যাচাই করুন। অনেক সময় মিটারের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ভুল রিডিং আসে।

প্রাকৃতিক বায়ু চলাচল ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিন

দিনের বেলা প্রাকৃতিক আলো-বাতাস প্রবেশের জন্য জানালা এবং দরজা পুরোপুরি খুলে দিন। আপনার বাসা যদি দক্ষিণমুখী হয়, তাহলে এটি খুব ভালো কাজে দেবে। সূর্যের আলো ও তাপ সরাসরি ঘরে প্রবেশ বন্ধ করতে ভারি পর্দা বা গাছপালাও ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে আপনার কক্ষের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কক্ষ শীতল রাখতে সারাক্ষণ এসি বা ফ্যান চালাতে হবে না।

বাড়িতে তাপ নিরোধক উপাদান ব্যবহার করুন

সামগ্রিক তাপমাত্রা হ্রাস করার জন্য বাড়ির দেয়াল, ছাদ ও মেঝেতে মধ্যে তাপ প্রতিরোধী উপকরণ ব্যবহার করতে পারেন। ফলে তাপমাত্রা কমানোর জন্য বাড়তি বিদ্যুৎ ব্যয় করতে হবে না। ফাইবারগ্লাস, সেলুলোজ, ফোমসহ অন্যান্য জিনিসকে তার নিরোধক উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এসব তাপ নিরোধক উপকরণ সঠিকভাবে ব্যবহার করে বাসার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

সাশ্রয়ী অভ্যাস গড়ে তুলুন

আমরা অনেকেই রুম থেকে চলে যাওয়ার সময় লাইট ও ফ্যান বন্ধ করতে ভুলে যাই। এই অপচয়ের অভ্যাস পরিবর্তন করে সাশ্রয়ী জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে পারলে অনেক বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব।

সবুজায়নের দিকে নজর দিন

প্রকৃতির শীতল সান্নিধ্য পেতে হলে গাছপালার কোনো বিকল্প নেই। সাম্প্রতিক দাবদাহের ফলে আমরা হয়তো এই বিষয়টি আগের চেয়ে আরও ভালোভাবে অনুধাবন করতে পারছি। যত্রতত্র গাছপালা কেটে আমরা পরিবেশের অনেক ক্ষতি করেছি। তাই স্নিগ্ধ ও শীতল সবুজের আচ্ছাদনে থাকতে বাড়ির আশেপাশে যত বেশি সম্ভব গাছ লাগাত পারেন। গাছ থেকে যেমন বিশুদ্ধ অক্সিজেন পাবেন, তেমনি পাবেন ছায়া, যা আপনার বাড়িকে ঠাণ্ডা রাখতে সহায়তা করবে।

বৈদ্যুতিক সামগ্রী নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করুন

আপনি যদি বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে চান, তাহলে রেফ্রিজারেটর, টিভি ও ওয়াশিং মেশিনের মতো বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নিয়মিত ও ভলোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা আবশ্যক। এগুলোর কোনো যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিদ্যুৎ বিল বেড়ে যেতে পারে। সুতরাং পুরনো সামগ্রী থাকলে সেগুলোকে ভালোভাবে সার্ভিসিং করান আর সম্ভব হলে আধুনিক ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য কিনুন।

সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করুন

সৌরবিদ্যুৎকে প্রাথমিকভাবে ব্যয়বহুল মনে হতে পারে। তবে যদি এটিকে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ হিসাবে বিবেচনা করেন, তাহলে অনেক বিদ্যুৎ সাশ্রয় করবে আর খরচও বাঁচবে অনেক। সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের আরেকটি সুফল হচ্ছে আপনাকে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুতের ওপর নির্ভর করতে হবে না। সৌরবিদ্যুৎ পরিবেশবান্ধব জ্বালানি। তাই যারা পরিবেশের ক্ষতি করতে চান না, তাদের জন্য এটি উত্তম বিকল্প। বাসার বারান্দা, ছাদ কিংবা অন্য যেকোনো ছোট্ট জায়গায় সোলার প্যানেল বসানো যায়। নতুন যে ডিভাইসের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল কমানো সম্ভব তার দাম মাত্র 191 টাকা। শুধুমাত্র ইলেকট্রিক মিটারে ওই ডিভাইসটি ইনস্টল করতে হবে। এবং তাহলেই বিদ্যুৎবিল আসবে অনেক কম। এমনই দাবি করা হয়েছে সংস্থার তরফে।

এখন শীতকাল গরমকালে প্রচন্ড গরমে স্বস্তি পাওয়ার জন্য চলছে AC, ফ্যান ইত্যাদি। এর ফলে বিদ্যুৎ বিল বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। ফেল সাধারণ মধ্যবিত্তদের পকেটে টান পড়ছে। এর থেকে সুরাহা পাওয়ার জন্য় একাধিক পদক্ষেপ নিয়েও সেভাবে কোনও সুরাহা হচ্ছে না। এখন জানতে পারবেন কীভাবে একটি ডিভাইসের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল কমাতে পারবেন। নতুন যে ডিভাইসের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল কমানো সম্ভব তার দাম মাত্র 191 টাকা। শুধুমাত্র ইলেকট্রিক মিটারে ওই ডিভাইসটি ইনস্টল করতে হবে। এবং তাহলেই বিদ্যুৎবিল আসবে অনেক কম। এমনই দাবি করা হয়েছে সংস্থার তরফে।

সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তাদের তরফে যে ডিভাইসটি তৈরি করা হয়েছে সেটি যদি ইনস্টল করা হয় তাহলে বিদ্যুৎ বিল প্রায় 35 শতাংশ কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই ডিভাইসটি একটি 15KW এর ডিভাইস। ই-কমার্স সাইট Flipkart থেকে 191 টাকার বিনিময়ে ওই ডিভাইসটি কিনতে পারবেন। এবং বিভিন্ন সময় 100 টাকার গিফ্ট কার্ডও পেতে পারেন ব্যবহারকারীরা। এই ডিভাইসটি যে শুধুমাত্র বাড়ির বিদ্যুৎ বিল কম করে তা নয়। কোনও কারণে শর্ট সার্কিট হলেও বাড়ির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস থেকে বাড়িকে রক্ষা করে এই ডিভাইস। তাই এই ডিভাইসটি বাড়িতে ইনস্টল করা খুবই প্রয়োজন বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে।

35 শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয়

অধিকাংশ বাড়িতেই রয়েছে ফ্রিজ, AC-র মতো হাই লোড ডিভাইসগুলি। অর্থাৎ এই ডিভাইসগুলি চালাতে প্রয়োজন অনেক বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। ফলে বিদ্যুৎ বিল আসে অনেকটাই বেশি। কিন্ত বিদ্য়ুৎ সাশ্রয়ী এই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যদি এই ডিভাইস বাড়ির মিটারে ইনস্টল করলে 35 শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। ওই সংস্থার তরফে একটি হিসেব দেওয়া হয়েছে যদি কোনও পরিবারে 10 হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে তাহলে এই ডিভাইস ইনস্টল করার পর বিদ্যুৎ বিল আসবে 6500 টাকার আশপাশে। ইতিমধ্যে ওই ই-কমার্স সাইটে এই ডিভাইসটির উপর অনেকে রিভিউ দিয়েছেন। অনেকেই পজিটিভ রিভিউ দিয়েছেন।

Leave a Comment