আধার কার্ডে রয়েছে একাধিক ভুল! নেই বাবা-মা কিংবা স্বামীর নাম? ভাবছেন কীভাবে আপডেট করবেন? কীভাবে একদম বাড়িতে বসেই করতে পারবেন এই কাজ? আর নেই কোনও চিন্তা। বেশি দেরি না করে আধার কার্ডের সমস্ত বিষয় আপডেট করে নিন আজই। নয়তো বিপদে পড়বেন বড়। যারা এখও আধার কার্ডের মধ্যে নিজের বাবা-মা কিংবা স্বামীর নাম যোগ করে উঠতে পারেননি তাঁদের জন্য সুখবর। বাড়িতে বসেই খুব সহজেই করতে পারবেন আধার কার্ড আপডেট। অনলাইনের মাধ্যমেই আপডেট করে নিতে পারবেন। এমনকি এর জন্য দরকার পড়বে না কোনওরকম ডকুমেন্টস।বর্তমানে আধার কার্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নথি হয়ে উঠেছে। সিম কার্ড তোলা হোক কিংবা অন্যান্য কাজ সবেতেই প্রয়োজন আধার কার্ডের। এখানে বাবা মা কিংবা স্বামীর নাম যেকোনই ব্যক্তি যুক্ত করতে পারবেন দুইভাবে।
প্রথম হলো যে কোনও ডকুমেন্টসের মাধ্যমে খুব সহজেই যুক্ত করতে পারবেন। দ্বিতীয় পদ্ধতিতে প্রয়োজন হবে না কোনওরকম নথির। এছাড়াও আধার কার্ডের মধ্যে যুক্ত করতে পারবেন নিজের নতুন ঠিকানাও।আধার কার্ডের মধ্যে নিজের বাবা-মা কিংবা স্বামীর নাম যুক্ত করতে শুধুমাত্র দরকার পড়বে একটি মোবাইল নম্বর। যে মোবাইল নম্বরটি আধার কার্ডের সঙ্গে লিংক রয়েছে সেটিতেই আসবে একটি ওটিপি।
প্রথমে লিঙ্ক করতে হলে সবার আগে যেতে হবে ইউআইডিএআই এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। এরপর ক্লিক করতে হবে লগইন অপশনে। যার কার্ডের সঙ্গে নাম যুক্ত হবে বসিয়ে দিতে হবে সেই কার্ড নম্বর। ক্লিক করতে হবে অ্যাড্রেস আপডেট অপশনে। এরপর স্ক্রিনে দেখতে পারবেন হেড অফ ফ্যামিলি আপডেট অপশন।সমস্ত কিছু পূরণ করা হয়ে গেলে ক্লিক করতে হবে নেক্সট বাটনে। যার নাম নির্দিষ্ট আধার কার্ডের সঙ্গে যুক্ত হবে সেই আধার নম্বরটি বসিয়ে দিতে হবে এবং বেছে নিতে হবে তার সঙ্গে সেই ব্যক্তির সম্পর্ক কী। এরপর নীচের একটি ডকুমেন্টস দেখা যাবে সেলফ ডিক্লারেশন ফর্ম। সেখানে সিলেক্ট করে নেক্সটে ক্লিক করতে হবে।
এর জন্য মোট কত টাকা লাগবে?
এজন্য মোট লাগবে ৫০ টাকা। টাকা পেমেন্টের পর অবশ্যই অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপটি ডাউনলোড করে নিতে হবে নিজের মোবাইলে। এখনো রয়েছে বেশ কিছু পদ্ধতি। অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপে থাকা এসআরএন নম্বর বসিয়ে দিতে হবে নির্দিষ্ট জায়গায়। এর জন্য চলে যেতে হবে ইউআইডিআই এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে। সেখানে নির্দিষ্ট ব্যক্তির বাবা কিংবা মায়ের অথবা স্বামীর আধার কার্ড নম্বর দিয়ে লগইন করে নিতে হবে। এরপর মাই হেড অফ ফ্যামিলি রিকোয়েস্ট অপশনে ক্লিক করতে হবে। এখানেই অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপে থাকা এসআরএন নম্বর বসিয়ে দিলেই আসবে অ্যাকসেপ্ট করার একটি অপশন। এরপর সাবমিট করতে হবে। অপেক্ষা করতে হবে সাত থেকে তিরিশ দিন পর্যন্ত। পুরো প্রসেসিং সম্পন্ন হলে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে চলে আসবে নতুন আধার কার্ড। এছাড়াও, আবেদনকারী অনলাইনের মাধ্যমে সহজেই ডাউনলোড করে নিতে পারবেন নতুন আপডেটেড আধার কার্ডটি।
আধার কার্ড সম্পর্কে যে ৮টি তথ্য সবার জেনে রাখা অতি আবশ্যক
১) যেকোনো ব্যক্তির আধার কার্ডে মোট ১২ অঙ্কের ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা ইউআইডিএআই নম্বর আছে। এই নম্বরকে কেন্দ্র করেই লুকিয়ে রয়েছে ভারতবর্ষের সব নাগরিকের বায়োমেট্রিক তথ্য। ফটো, আইরিশ এবং আঙুলের ছাপ সমেত রয়েছে সবটাই।
২) আধার কার্ডের মধ্যে থাকা ১২ অঙ্কের ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা ইউআইডিএআই নম্বর কখনই ‘০’ বা ‘১’ সংখ্যাটি দিয়ে শুরু হবে না এমনটাই নিয়ম।
৩) কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া এই নম্বরটি দেওয়া হয়ে থাকে সবাইকে। ভারতের যে কোনও যেকোনো প্রান্তে, আধার সবার জন্য ঠিকানা ও পরিচয় পত্র হিসাবে গণ্য করা হয়ে থাকে।
৪) আধারের তালিকাভুক্ত বাধ্যতামূলক নয়, কোনওভাবেই।
৫) যেকোনও ব্যক্তি বিশেষের ক্ষেত্রে আধার তালিকাভুক্ত করতে গেলে কোনওরকম মূল্য অর্থাৎ টাকা লাগে না।
৬) প্রত্যেক আধার কার্ডের রয়েছে আলাদা আলাদা ইউনিক নম্বর। এই নম্বরটি বৈধ থাকবে সারাজীবন।
৭) আধার কার্ড পাওয়ার পরে, নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তিকে আধার কার্ডের কপি এবং অ্যাকাউন্ট রয়েছে এমন একটি ব্যাঙ্কের শাখার নাম সহ জমা দিতে হবে আবেদন। ব্যাঙ্ক ওই বিশেষ অ্যাকাউন্টটিকে আধার এনাবেলড ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট (এইবিএ)-তে রূপান্তরিত করে দেবে।
৮) আধার পেমেন্ট ব্রিজ এটি হল (এপিবি) একটি বিশেষ পেমেন্ট সিস্টেম। যা বাস্তবায়িত করা হয়েছে ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এনপিসিআই) দ্বারা। এর মধ্যে দিয়েই বৈদ্যুতিন উপায়ে সরকারের দেওয়া ভর্তুকির সুবিধা পেতে পারবেন যে কোনও মানুষ।