বাড়ি কেনা এবার সাধ্যের মধ্যে! EMI নিয়ে নো চিন্তা! হোম লোনের টাকা উঠে আসবে SIP থেকেই। প্রত্যেকটি মানুষেরই স্বপ্ন থাকে যে তাদের নিজের একটি বাড়ি হবে। মাথার উপর ছাদ গড়ে তুলতে কে না চান! প্রত্যেকেই চান উপার্জন করার পরে ধীরে ধীরে টাকা জমিয়ে নিজের একটি বাড়ি কিনবেন। ইদানিং শহরে বহুতল গড়ে উঠছে অহরহ। সেই সকল বহুতলে নিজের একটা পাকা জায়গা বানাতে সকলেরই একটা স্বপ্ন থাকে। শহর হোক কী শহরতলী থাকার জন্য ফ্ল্যাট বাড়ির দাম ক্রমশ বাড়ছে। ঊর্ধ্বমুখী দামে ফ্ল্যাট বাড়ি কিনতে গিয়ে নাভিঃশ্বাস দশা হচ্ছে মধ্যবিত্তের। সরাসরি ক্যাশ দিয়ে বাড়ি কেনা সেরকম সম্ভব হয় না। তাই ইএমআই পদ্ধতি ব্যবহার করেই বাড়ি কেনেন বেশিরভাগ মানুষ। তবে মাসে মাসে ইএমআই জমা দিতে গিয়ে স্যালারির একটা বড় অংশ বেরিয়ে যায়। এই সমস্যা থেকে সমাধানের উপায় কি? আমাদের আজকের প্রতিবেদনটি রইল সেই বিষয়ে। এখন বাড়ি কেনা হয়ে যাচ্ছে আপনাদের সাধ্যের মধ্যে।
বর্তমানে চাকরির বাজার যে ভালো নয় তা ভালো ভাবেই জানেন সাধারণ মানুষ। তাছাড়া যে চাকরি পাওয়া যাচ্ছে তাই দিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এমতবস্থায় বাড়ি কেনার স্বপ্ন পূরণ
ক্রমশ অসাধ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে মধ্যবিত্তের জন্য। চাকরি স্থানের কাছাকাছি থাকার জন্য সবাই চান একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই হোক। ফলে নামি দামি শহর গুলিতে ফ্ল্যাট বাড়ির মূল্য আকাশ ছোঁয়া জায়গায় গিয়ে পৌঁছাচ্ছে। এখন কথা হচ্ছে, তাহলে কি মানুষ তার স্বপ্ন পূরণ করবে না? নাকি বাড়ি কেনা থেকে দূরে থাকবে? এর কোনটাই সম্ভব নয়। আর সেই কারণেই মধ্যবিত্তের উপকার করতে একটি দারুণ উপায় প্রকাশ্যে এল। আপনি ভাবছেন কি উপায়? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
কলকাতার মতো শহরে ফ্ল্যাট বাড়ি কেনার খরচ লাখ থেকে ধীরে ধীরে কোটিতে পৌঁছোচ্ছে। আর শহরতলীতেও একই অবস্থা। আমরা তো বলছি কলকাতা শহরের কথা। কিন্তু ভারতের আরও অনেকগুলি শহর রয়েছে, যেখানে ফ্ল্যাটের খরচ আরো বেশি। প্রধানত চাকরিজীবীরা এই ধরনের
ফ্লাট বাড়ির খোঁজে থাকেন। কারণ চাকরি করার জন্য অনেকেই আছেন নিজের আবাসস্থলের বাইরে যান। এখন ভাড়া বাড়িতে থাকার খরচ যেহেতু অনেকটাই বেশি, আর মাসে মাসে নিজের বেতন থেকে সেই টাকা খরচ করতে মোটেই মন চায় না। তাই মাথার উপর স্থায়ী ছাদের বন্দোবস্ত সবাই চান করে নিতে। কিন্তু বর্তমানে মূল্যবৃদ্ধির বাজারে স্বপ্নের বাস্তবায়ন আরো কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আর তার থেকেই মুক্তি খুঁজছেন সাধারণ মানুষ।
সম্প্রতি একটি পরিসংখ্যার সামনে এসেছে যেখান থেকে দেখা যাচ্ছে, 2022 সালে নয়ডার একটি
অ্যাপার্টমেন্ট কিনতে গড় খরচ হত ১.২৪ কোটি টাকা। ২০২৪ সালে এসে সেই খরচ এসে দাঁড়িয়েছে
১.৬৮ কোটি টাকার কাছাকাছি এবং এও জানা যাচ্ছে, ভবিষ্যতে অ্যাপার্টমেন্ট কিনার খরচ কিন্তু আরও বাড়বে। ফ্ল্যাট বাড়ির খরচ বাড়বে মানেই মাসে মাসে ইএমআই এর খরচ আকাশ ছোঁবে। কারণ ক্যাশ দিয়ে সরাসরি ফ্ল্যাট কেনার ক্ষমতা মধ্যবিত্তের নেই। তাহলে এখন উপায় কি? বাড়ি কেনার জন্য অনেকেই ঋণ নিয়ে থাকেন। সেই ঋণের বোঝা মেটাতে বছরের পর বছর কেটে যায়। তাই আপনি একটি উপায় করতে পারেন। আপনি বিনিয়োগ করতে পারেন SIP তে। এতে আপনার বেশ খানিকটা উপকার হতে পারে। বর্তমানে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। আপনি সেক্ষেত্রে সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান বা SIP এর মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল আপনাকে এক সঙ্গে টাকা ঢালতে হবে না। বদলে আপনি যেটা করতে পারেন, প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা যেকোনো মিউচুয়াল ফান্ড স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে এরপর যদি আপনি বাড়ি কেনেন আপনার কাছে মোটা টাকার যোগান উপস্থিত থাকবে।
আপনাদের সামনে একটা হিসাব তুলে ধরা হলো। মনে করুন আপনি কুড়ি বছরের মেয়াদে ৮.৫ %
সুদের হারে ৪০ লক্ষ টাকার হোম লোন নেন, তবে আপনার এই টাকার ওপরে কুড়ি বছরের সুদ হবে
৪৩,৩১,১০৩ টাকা। সুদ এবং মূল টাকা মিলিয়ে আপনাকে ব্যাংক কে পরিশোধ করতে হবে মোট
৮৩,৩১,১০৩ টাকা। তবে আপনি যদি এসআইপিতে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বিনিয়োগ করেন, তাহলে আপনার আর্থিক বোঝা অনেকটা কমে যাবে। মোটামুটি আপনার হোম লোনের টাকা উঠে আসবে এসআইপি থেকেই। তাহলে আর দেরি না করে বিনিয়োগ শুরু করুন এবং নিজের উপার্জন
এর টাকায় নিজের মাথার উপর ছাদ তৈরি করুন।