ঘরে বসে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়, রইল ৯টি সহজ উপায়

চাকরি, ব্যবসা ভুলে যান! নয়টি দারুন উপায়ে প্রতি মাসে রোজগার করুন হাজার হাজার টাকা! বর্তমান যুগে টাকা রোজগার করার জন্য কত না চিন্তা আমাদের। একদিকে যেমন চাকরির বাজারে সুযোগ নেই, তেমনি ব্যবসা করার জন্য পুঁজি ও ধৈর্য নেই। এদিকে মাসে হাত খরচাটাও প্রয়োজন! তাহলে এখন উপায়? চাকরি আর ব্যবসা বাদ দিয়ে এমন কিছু পন্থা আছে, যা মেনে চললে মাসে মাসে মোটা অংকের টাকা আসবে আপনার অ্যাকাউন্টে। সেই টাকা যেমন আপনি খরচ করতে পারবেন, আবার চাইলে একটু একটু করে সঞ্চয়ও করতে পারবেন। অবাক হচ্ছেন? তাহলে মন দিয়ে পড়ে নিন আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন। ‌আপনার সুবিধার্থে নয়টি দারুন টাকা রোজগার করার রাস্তা
আলোচনা করব।

টাকা রোজগার করা নিয়ে আমাদের চিন্তা থাকে সবসময়। আসলে আপনি যদি একটু বুদ্ধি খাটান, তাহলে বাড়িতে বসেই ভালো টাকা রোজগার করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে বাইরে ছোটাছুটি করতে হবে না, তুমুল পরিশ্রম করতে হবে না। আসলে ইন্টারনেটের যুগে টাকা রোজগার করা অনেকটা সহজ হয়েছে। এখন আমাদের মুঠোফোনে বন্দি গোটা বিশ্ব। এখানে অনেক ধরনের টাকা রোজগার করার রাস্তা খোলা রয়েছে। তবে হ্যাঁ, অসৎ পথে নয়। বরং সৎ পথেই আপনি টাকা রোজগার করতে পারেন। অনেকেই চান পার্ট টাইমে টাকা রোজগার করতে। আবার অনেকের ইচ্ছে থাকে, পড়াশোনার পাশে টাকা রোজগার করবেন। গৃহবধূ, রিটার্ড পারসন যারা রয়েছেন তাদের অনেকেই ওয়ার্ক ফ্রম হোম জব খোঁজেন। চাকরি ছাড়াও তাদের জন্য আরো কিছু রাস্তা আছে যেখানে টাকা রোজগার করা সম্ভব। এখন আপনি ভাবছেন যে কি পথ রয়েছে? তেমনি নটা টিপস নিয়ে আমরা আলোচনা করব আজকের প্রতিবেদনে। তাহলে আর চিন্তা কিসের? চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন নয়টি পথে আপনি প্রত্যেক মাসে টাকা রোজগার করতে পারবেন।

Nine Tips to making money 2024 | টাকা রোজগার করার নয়টি দারুন টিপস ২০২৪

১) নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট:

ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করে সেখান থেকে সুদ পাওয়া যায় এটা অনেকেই জানেন। ‌কিন্তু যেটা জানেন না, সেটা হল নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা রোজগার করা যায়। এবার নিশ্চয়ই আপনি অবাক হলেন। চিন্তা নেই, বিস্তারিত বলছি। আপনি নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেও টাকা রোজগার করতে পারেন। আসলে নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুললে ডেবিট কার্ডে কেনাকাটার রিওয়ার্ড পাওয়া যায়। আপনি যদি বিনা চেষ্টায় টাকা রোজগার করার রাস্তা খুঁজে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য ভালো বিকল্প হাই ইল্ড সেভিংস অ্যাকাউন্ট।

২) কেনাকাটায় ক্যাশব্যাক

কেনাকাটা করতে আমাদের সবারই ভালো লাগে। আবার কেনাকাটা করেই টাকা পেতে পারেন। এই যুগে অনলাইন কেনাকাটার রাস্তা প্রশস্ত। আপনিও যদি অনলাইন কেনাকাটায় পারদর্শী হয়ে থাকেন, তাহলে জানবেন অনেক সময়েই একটি প্রোডাক্ট কেনার পরে ভালো ক্যাশব্যাক অফার করা হয়। অনেক সময় প্রোমো কোড, ডিসকাউন্টও মেলে। বহু ওয়েলকাম বোনাসেও‌ টাকা পাওয়া যায়। ‌

৩) সার্ভে

ইদানিং সার্ভে করেও টুকটাক টাকা রোজগার করা যায়। কিছু অ্যাপ্লিকেশন আছে যেখানে আপনি বাড়ি বসে মোবাইল ফোন অথবা ট্যাব থেকে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়ে টাকা রোজগার করতে পারবেন। এমন একটি অ্যাপ হল Survey Junkie। অ্যাপটি ভিজিট করে কিছু প্রশ্নের উত্তর অথবা মতামত দিতে হবে। আর মতামত দিলেই মিলবে পয়েন্ট। সে পয়েন্টকে আপনি নগদে অথবা গিফট কার্ডে বদলে দিতে পারেন।

৪) অড জব

বেশ কিছু কাজ আছে যেগুলো একটু অদ্ভুত হলেও সেখান থেকে টাকা রোজগার করা যায়। সেক্ষেত্রে এই কাজগুলির জন্য আপনাকে বাইরে বের হতে হবে। যেমন অনেক সময় বেবি সিটিং, পোষ্যকে পালন ইত্যাদি কাজ করে প্রতিমাসে একটা হাত খরচা জোগাড় করাই যায়।

৫) ওয়েবসাইট বা ডোমেইন ফ্লিপ

এই বিষয়ে যদি আপনার জ্ঞান থাকে তবে আপনি টাকা রোজগার করতেই পারেন। ডোমেইন ফ্লিপিং করে ইদানিং অনেকেই টাকা রোজগার করছে। এটা অনেকটা রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগের মত। আপনি কোন একটা ওয়েবসাইট বা ডোমেইন কিনে, সেটির উপর কাজ করে সেটিকে ভালো দামে বিক্রয় করে সেখান থেকে রোজগার করতে পারেন।

৬) ডেলিভারি

বর্তমানে খাবার বা খুচরো জিনিসে ডেলিভারির কদর বেড়েছে। সবাই চাইছে বাড়িতে বসে হাতের কাছে জিনিসপত্র চলে আসুক।‌ আপনার যদি একটি টু হুইলার থাকে, তাহলে আপনি এই কাজ করে টাকা রোজগার করতে পারেন। বর্তমানে কিছু অ্যাপ্লিকেশন ‌আছে, যার সাহায্যে ডেলিভারি করে টাকা রোজগার করা যায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় Doordash, Grubhub, UberEats এর মত কিছু অ্যাপ্লিকেশনের নাম।

৭) অপ্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি

আমাদের সবার বাড়িতেই এমন কিছু জিনিস থাকে যেগুলি হয়তো আমরা রেগুলার ব্যবহার করিনা। কিছু অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে, সেই অ্যাপে জিনিস বিক্রি করে টাকা রোজগার করা যায়। যেমন ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, পোশাক, ভিডিও গেম ইত্যাদি।

৮) গিফট কার্ড বিক্রি

আপনার কাছে যদি অব্যবহৃত গিফট কার্ড জমা হয়ে থাকে, তাহলে আপনি সেগুলি বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। কিছু জায়গা আছে যেখানে আপনি এগুলো বিক্রি করতে পারবেন। যেমন Cardcash, Ej এর মত অ্যাপ্লিকেশন।

৯) ইনভেস্টমেন্ট অ্যাপ

বর্তমানে বেশ কিছু ইনভেস্টমেন্ট অ্যাপ রয়েছে যে অ্যাপগুলিতে আপনি বিনিয়োগ করে দীর্ঘমেয়াদী সম্পদ তৈরি করতে পারবেন। অ্যাপগুলি যেমন দ্রুত রিটার্ন দেয়, এবার আপনি কম দামে স্টক কিনে বেশি দামে বিক্রি করে অতিরিক্ত টাকার রোজগার করতে পারেন।

Leave a Comment