CIBIL স্কোর কি? বাড়াবেন কীভাবে? জেনে নিন জরুরি টিপস

নিজের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেই বাড়িয়ে নিতে পারবেন সিবিল স্কোর। জেনে নিন জরুরী টিপস। সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্রেডিট (Credit Card) ও ডেবিট কার্ড (Debit Card) ব্যবহারের পরিমাণ বেড়েছে। যত দিন যাচ্ছে মানুষ কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেক বেশি পারদর্শী হয়ে উঠছে। ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড দুটোই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয়। তবে অনেকেই ক্রেডিটর ডেবিট কার্ডের সমস্ত ব্যবহার, উপকারিতা জানেন না। ক্রেডিট কার্ডকে সঠিকভাবে ব্যবহার করলে বৃদ্ধি করা যায় সিবিল স্কোর।আজকাল বহু সংখ্যক মানুষ ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড ব্যবহার করলেও ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কিত একটি বিশেষ দিকটি অনেকেই আছেন মিস করে যান। আজ আমরা আলোচনা করব, কিভাবে ক্রেডিট কার্ডকে সঠিক ভাবে ব্যবহার করে আমরা সিবিল স্কোর বাড়িয়ে নিতে পারি।

বর্তমানে ক্রেডিট কার্ডের বহুল ব্যবহার বাড়লেও অনেক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী জানেন না যে ক্রেডিট কার্ড লিমিটের বিষয়টি কতটা। অথবা ব্যবহারকারী ক্রেডিট কার্ডের লিমিটের কতটা ব্যবহার করবেন। এছাড়া ক্রেডিট স্কোর বৃদ্ধি নিয়ে অনেক ব্যবহারকারীর মনে প্রশ্ন থাকে। সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন অনেকেই। তবে একটা বিষয় ঠিকই যে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে সেই কার্ড সম্পর্কিত সমস্ত বিষয়গুলি জেনে রাখা দরকার। আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা জেনে নেব ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য, যাতে কার্ড ব্যবহারের সময় আপনি বিভ্রান্ত না হয়ে পড়েন।

ক্রেডিট কার্ড ও ক্রেডিট স্কোর (Credit Card and Credit Score)

একটি ক্রেডিট কার্ডের (Credit Score) ক্ষেত্রে ক্রেডিট স্কোর (Credit Score) ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য ক্রেডিট স্কোর (Credit Score) বিষয়টি বিবেচনার বিষয়। যদি কোন ব্যবহারকারীর ক্রেডিট স্কোর খারাপ হয়, তবে তার প্রভাব পড়ে উক্ত ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার কারীর ওপর। আর একজন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার কারীকে এই দিকগুলির বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীর জেনে রাখা দরকার ‘ক্রেডিট ইউটিলাইজেশন রেশিও’ সম্পর্কে। এখন কথা হচ্ছে ‘ক্রেডিট ইউটিলাইজেশন রেশিও’ ঠিক কি?

একটি ক্রেডিট কার্ড এর মোট সীমা এবং ক্রেডিট কার্ডের খরচের অনুপাত ক্রেডিট ইউটিলাইজেশন রেশিও নামে পরিচিত। ক্রেডিট ইউটিলাইজেশন রেশিওর অনুপাত যদি বেশি হয়, তবে তা ক্রেডিট স্কোরের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর্থিক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিজের ক্রেডিট স্কোর উর্ধ্বমুখী রাখতে চাইলে ক্রেডিট কার্ডের মোট সীমার ৩০ শতাংশের বেশি ব্যয় করা কখনোই উচিত নয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার ক্রেডিট কার্ডের মোট সীমা থাকে এক লক্ষ টাকা, তবে সেই ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ৩০ হাজারের বেশি খরচ করা উচিত নয়।

সাধারণত দেখা যায়, কোম্পানিগুলি যেটা করে, মাসিক ভিত্তিতে‌ কোনো একজন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীর ‘ক্রেডিট স্কোর’ (Credit Score) আপডেট করে। সেক্ষেত্রে যদি দেখা যায়, গ্রাহকের ‘ক্রেডিট ইউটিলাইজেশন রেশিওর’ অনুপাত কমে যাচ্ছে, তাহলে কোম্পানিগুলি পুনরায় এই হিসাব আপডেট করে। তারপরও যদি এটা দেখা যায় যে গ্রাহকের ক্রেডিট ইউটিলাইজেশন রেশিও কম থাকছে, সেক্ষেত্রে সেই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী স্বল্প সুদে ঋণ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা পাবেন। আমরা জানি স্বল্প সুদে ঋণ গ্রহণ করতে গেলে সিবিল স্কোর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আবার এটাও বলা যায়, সিবিল স্কোর ভালো থাকলে তুলনামূলক স্বল্প সুদে ঋণগ্রহণ করা যায়। তাই সবাই চান নিজেদের সিবিল স্কোর ভালো রাখতে।

কোম্পানিগুলির তরফে কোন একজন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীর ক্রেডিট খরচের হিসেব কতটা তার অনুবাদকে প্রত্যেক মাসে হিসেব করা হয়। একজন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী তার ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কতটা খরচ করছেন তার হিসেব থাকে কোম্পানিগুলির কাছে। এবার ব্যবহারকারী যদি তার বেশিরভাগ খরচ নিজের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে করবেন বলে ভেবে থাকেন, সেক্ষেত্রে উক্ত কোম্পানিগুলির কাছে এই বার্তা যায় যে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী তার অর্থের অভাবে বেশিরভাগ কাজ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে করছেন। আর এই ঘটনার প্রভাব সরাসরি পড়ে তাঁর ক্রেডিট স্কোর বা সিবিল স্কোরে। তাই একজন ব্যবহারকারীকে তাঁর সিভিল স্কোর ঠিক রাখার জন্য, অনেক বুঝেশুনে খরচ করতে হবে। অথবা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খরচ করার ক্ষেত্রে সীমা লংঘন করলে চলবে না।

Leave a Comment