রাজ্যে, গত বৃহস্পতি বার থেকে পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam 2023) শুরু হয়ে গিয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মাধ্যমিকের (WBBSE Madhyamik Exam 2023) বাংলা এবং ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা হলো জীবনের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। আর সংবাদ সুত্রে জানা গেছে, পরীক্ষার প্রথম ও দ্বিতীয় দিন রাজ্য জুড়ে প্রায় কোনও বাধা ছাড়াই পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এবার রাজ্যের পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রাখা হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে পরীক্ষার আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়ছিল। যার জেরে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের বিরুদ্ধে নিন্দাযর ঝড় বয়েছে। তাই এ বার রাজ্য সরকার তথা শিক্ষা দপ্তর ও মধ্য শিক্ষা পর্ষদ বাড়তি নিরাপত্তা ও সতর্কতা নিয়েছে। এবার অনলাইনে App এর মাধ্যমে সমস্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে Web Camera এর মাধ্যমে পরজবেক্ষন ও নজরদারি চালানো হচ্ছে।
মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে ঘোষণা
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন রাজ্যের প্রশাসনিক বৈঠকে গিয়েছিলেন, এবং সেখানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশংসা করেছিলেন এবং মাধ্যমিক পরীক্ষা খারাপ হলে চিন্তা না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এছাড়াও, তিনি বলেছিলেন যে এটি ঠিক নয়, যে সমস্ত বিষয়ে সবাই সমান পারদর্শী হবে। প্রতিটি ছাত্র বা ছাত্রী কোনও না কোনও বিষয়ে সেরা। তাই সমস্ত বিষয়েই ভালো করতে হবে তার কোনও মানে নেই।
এই মন্তব্যের পরই শুরু হয় শিক্ষকমহল, অভিভাবকদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক। তবে কি খারাপ রেজাল্ট হলে কি সবাইকে পাশ করানো হবে? তাহলে এত নিয়ম কানুন গঠন করে পরীক্ষার কি মানে? এমন ধরনের প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।
মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন?
মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি প্রতিটি ছাত্রকে ভালোবাসেন এবং তাদের একটি সহজ ভবিষ্যত নিশ্চিত করবেন। রাজ্য সব রকমের সুবিধা প্রদানের জন্য প্রস্তুত। পরীক্ষায় প্রত্যেকে ভালোফলাফল আনতে পারে না, কিন্তু এর মানে এই নয় যে তারা কর্মক্ষেত্রে ও সবার পিছনে থাকবে। এমন ব্যক্তিদের অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে যারা ভালো রেজাল্ট না করেও পরবর্তীতে তাদের পেশা বা কাজের লাইনে ব্যাপকভাবে ভালো করেছে। যাইহোক, রাজ্যের ছাত্র ছাত্রীরা বিগত কয়েক বছরে, সারা দেশের পড়ুয়াদের সাথে প্রতিযোগিতায় ভালো ফল করেছে। আর এবার ও তিনি সকলের ভালো রেজাল্ট করার শুভাশিস জানিয়েছেন।
যদিও প্রশ্ন উঠছে, এবার কি তাহলে প্রায় সমস্ত পরিক্ষার্থীকেই পাস করিয়ে দেওয়া হচ্ছে? সরকার অন্যান্য বোর্ডের সাথে পাল্লা দিতে বেশি নম্বর দিচ্ছে? কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এতে কি শিক্ষাব্যবস্থার আদৌ উন্নতি হবে? যে সমস্ত রাজ্যে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে সেগুলি জুড়ে ছাত্ররা ভালো গ্রেড অর্জনের জন্য কতটা পরিশ্রম করে? আর এই রাজ্যে এই বছর প্রায় সাড়ে চার লক্ষ পরিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গেছে। রাজ্য প্রশাসন মেয়েদের শিক্ষার হার বাড়াতে কন্যাশ্রী এবং রূপশ্রীর মতো কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। তাহলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কেন কমে যাচ্ছে? কেনই বা সবাইকে পাশ করানোর সিদ্ধান্ নেওয়া হচ্ছে?
সবাই পাশ করবে?
শুধু মেয়েদের জন্য নয়, শিক্ষার মান উন্নয়নে রাজ্য সরকার ছেলেদের জন্য ও বেশ কিছু স্কলারশিপ ও সুবিধা প্রদান করেছে, শিক্ষকরা প্রশ্ন তুলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী ঠিক কি বোঝাতে চাইলেন বা এই কথার অর্থ কী? সবাইকে পাশ করানোর পরিবর্তে শিক্ষাব্যবস্থার কাঠামোকে উন্নত করা উচিত। ভুরু ভুরি ছুটি না দিয়ে শিক্ষার মূল স্রোতে সকলকে ফেরানো উচিত। এদিকে এমনিতেই অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পাশ ফেল তুলে দিয়ে পাশ করার আনন্দ বা প্রতিজোগিতাই মলিন করে দিয়েছে। আর এবার মাধ্যমিকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় পাশ ফেল তুলে দিলে আখেরে শিক্ষার মান হ্রাস পাবে।
পাস ফেল না থাকার কারনে সবাই পাস করছে। কিন্তু শিক্ষার ক্ষেত্রে তাদের কোনো বিকাশ ঘটছে না। তারা নিয়ম অনুযায়ী পড়াশোনা করে পাস করছে না। এতে শিক্ষা ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, মন্তব্য নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির সম্পাদকের। যদিও আপাত দ্রিস্টহিতে সবাই কে পাশ করানো কে মানবতার দিক দিয়ে দেখলেও, চাকরির ক্ষেত্রে তারা পিছিয়ে পড়বে, একথা বলার অপেক্ষা রাখেনা। আপনার মন্তব্য নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
Rejalt
Hello please help me
Sarfaraj molla
Happy
Ok