সরকার টাকা দিচ্ছে ব্যবসা করতে। আপনি বিনিয়োগ করবেন অর্ধেক, বাকি দেবে সরকার।

ব্যবসা করতে চান? পুঁজি নিয়ে চিন্তা নেই! বিজনেস করবেন আপনি, আর টাকা দেবে সরকার রাজ্যে চাকরির বাজার ভালো নয়। অনেকেই আছেন যারা ব্যবসার দিকে ঝুঁকছেন। ঠিক মত ব্যবসা করতে পারলে, রয়েছে দ্বিগুণ লাভ। তবে ব্যবসার জন্য বিনিয়োগ বিষয়টি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসা করতে গেলে পুঁজি বিনিয়োগ করতে হবে। আপনি যে ধরনের ব্যবসা করবেন, বিনিয়োগ নির্ভর করবে তার ওপর। অনেকেই আছেন যারা ব্যবসা শুরু করার আগে ব্যাংক থেকে লোন নেন। তবে লোন নেওয়ার অর্থ হল মাথার উপর টাকার বোঝা চাপা। তবে এখন থেকে আর চিন্তা নেই। কারণ, আপনি বিজনেস করলে তার টাকা দেবে সরকার। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে রাজ্য সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বাংলায় ভালো চাকরি যতটা দুর্লভ হয়ে উঠেছে, সাধারণ মানুষ তত বেশি ব্যবসার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। ব্যবসার জন্য লোন নেওয়া চলছে বিভিন্ন ব্যাংক, ও ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি ঋণ দিলেও, ঋণগ্রহিতার মানুষের সুদের ভারে প্রাণ ওষ্ঠাগত। এদিকে কর্মসংস্থানের প্রয়োজন, বিকল্প এর সন্ধানে রয়েছেন সাধারণ মানুষ।

তবে ব্যবসা করা তো আর চাট্টিখানি কথা নয়। একটা ব্যবসা শুরু করতে হলে অনেক পরিকল্পনা করে তবেই এগোতে হবে। অনেকেই বিনিয়োগের কথা চিন্তা করে পিছিয়ে আসেন। তবে আপনি যদি এমন হন ব্যবসা করবেন বলে মনস্থির করে থাকেন তাহলে আপনার ব্যবসায় সাহায্য করবে সরকার।
পশ্চিমবঙ্গের যত বেকার চাকরিপ্রার্থীরা রয়েছেন, তাদের সবার জন্যই রাজ্য সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। রাজ্য সরকার নিজেই আপনার ব্যবসা তৈরি করে দেবে। আপনাকে শুধু সেই ব্যবসাটি
ঠিকভাবে চালাতে হবে। আর এটা করতে পারলেই আপনার ভবিষ্যৎ অনেকটাই সুরক্ষিত হয়ে উঠবে। এখানে বলে রাখি, আপনি যদি সত্যি ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে আপনার ব্যবসায় ৫০ শতাংশ
ভর্তুকি দেবে খোদ সরকার। পাশাপাশি আপনি যে ব্যবসা করবেন সে ব্যবসা সমস্ত জিনিস যোগান হবে সরকারের তরফে। আপনি যদি জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে চান, তাহলে দেরি না করে সরকারি নতুন উদ্যোগে সামিল হন। কিভাবে সাহায্য পাবেন কী কী করতে হবে, আসুন জেনে নেওয়া যাক।

আপনার ব্যবসায় বিনিয়োগ করবে সরকার!

সম্প্রতি রাজ্যে আলোচনা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের প্রানী সম্পদ শিল্পীর বিকাশ ঘটানোর কথা। আর সেই আলোকেই জাতীয় প্রাণী সম্পদ মিশন প্রকল্প এর আওতায় প্রাণী সম্পদ শিল্পের ব্যবসা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের তিনটি জেলাকে বেছে নিয়ে সেখানে এই কর্মসূচি শুরু করেছে সরকার। তালিকায় রয়েছে 1) উত্তর দিনাজপুর, 2) মালদা ও 3) দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার নাম। ব্যবসার উদ্যোগপতী দের সাহায্য করছে খোদ সরকার। জোর দেওয়া হচ্ছে, প্রাণীজাত দ্রব্য ও তাদের উপজাত দ্রব্যগুলির বিকাশ ঘটানোর ক্ষেত্রে।

ব্যবসা করার জন্য কোন কোন শর্ত মানতে হবে?

আপনি তখনই সরকারের থেকে ব্যবসা করার জন্য সাহায্য পাবেন, যখন কিছু শর্ত আপনি মানবেন। যেমন, ১) আপনাকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে ২) গবাদি পশুদের খামার তৈরির জন্য একটি নির্দিষ্ট জমি, জায়গা থাকবে। ৩) ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে চলার জন্য আপনার নূন্যতম যোগ্যতা থাকবে।

এই ব্যবসায় কি ধরনের সাহায্য পাবেন ব্যবসায়ী?

1) প্রথম কথা হল, এই ব্যবসায় উদ্যোগপতীকে মোটেই চিন্তাভাবনা করতে হবে না। কারণ গবাদি পশু কেনা, খামার তৈরি ও অন্যান্য সরঞ্জামের যোগান দিয়ে দেবে সরকার। এমনকি গবাদি পশু প্রতিপালনের জন্যও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যোগান সরকারের তরফে দেওয়া হবে। আপনাকে শুধু ব্যবসাটা সঠিকভাবে করতে হবে।

2) দ্বিতীয়ত, রাজ্যের যে সকল উদ্যোগপতি এই ব্যবসা শুরু করবেন তাদের সরকার ৫০ শতাংশ ভর্তুকি দেবে।

3) শুধু তাই নয়, এই ব্যবসার জন্য উদ্যোগপতি আলাদা করে প্রশিক্ষণ দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এখনো পর্যন্ত মোট ১০০ জন উদ্যোগপতি এই ব্যবসায় নাম লিখিয়েছেন। আগামী দিনে আরও অনেকেই এই ব্যবসা যুক্ত হবেন বলে জানা যাচ্ছে।

ব্যবসা শুরু করার জন্য সরকারি সাহায্যের আবেদন জানাবেন কিভাবে?

আপনি যদি এই ব্যবসায় আগ্রহী হয়ে থাকেন ও আবেদন জানাতে ইচ্ছুক হন, তাহলে ভিজিট করুন
আপনার নিকটবর্তী প্রাণীসম্পদ দপ্তরের অফিসে। সেখানে গিয়ে আবেদন পত্র ফিল আপ করে জমা করুন। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলি জমা করুন। এছাড়া ব্যবসার জন্য একটি নূন্যতম মূলধন জমা করতে হবে আপনাকে। এই ব্যবসায় আপনি ২০ লক্ষ টাকা থেকে ১ কোটি টাকার স্কিম দেখতে পাবেন। সেখান থেকে আপনি পছন্দমত বেছে নিন। টাকা জমা করলেই আপনার নাম সরকারের খাতায় চলে যাবে। তার কিছুদিনের মধ্যে ব্যবসার লাইসেন্স পেয়ে যাবেন ও সরকারের তরফে লোক এসে আপনার ব্যবসার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করে দিয়ে যাবে। এছাড়াও যদি আপনার এ বিষয়ে আরো কিছু জানার থাকে, তাহলে নিকটবর্তী অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন।

Leave a Comment