কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্দান্ত লাভজনক স্কিম! প্রতিমাসে মিলবে ৩ হাজার টাকা! জেনে নিন আবেদন পদ্ধতি দেশের সরকার দরিদ্র জনসাধারণের উন্নতি স্বার্থে একগুচ্ছ প্রকল্পের সূচনা করেছেন। প্রত্যেকটি প্রকল্প জনগণের উন্নতির সহায়ক এবং প্রতিটি প্রকল্প থেকে আপনি মাসিক অথবা বার্ষিক হারে সুযোগ-সুবিধা লাভ করতে পারবেন। ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জনকল্যাণ ও দরিদ্র জনসাধারণকে আলোয় আনার স্বার্থে আয়ুষ্মান ভারত যোজনা, কিষান যোজনা, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা, রোজগার মেলার মতো বিভিন্ন প্রকল্প শুরু করেছে। তেমনি কেন্দ্রীয় সরকারি একটি প্রকল্প আবেদনকারীকে প্রত্যেক মাসে তিন হাজার টাকার অর্থ সাহায্য করে। আপনিও যদি প্রকল্পের সুবিধা পেতে চান, তাহলে আজকের প্রতিবেদন অবশ্যই আপনার জন্য। প্রতিবেদনে আমরা উল্লেখ করব, কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ স্কিম ই শ্রম কার্ড সম্পর্কে।
কেন্দ্রীয় সরকারের ই শ্রম কার্ড প্রকল্প (Central Government’s E-Sharam Card Scheme)
ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ই শ্রম কার্ড প্রকল্পটি শুরু করেছিলেন সমাজের দরিদ্র জনসাধারণের জন্য। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো, অসংগঠিত ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত কর্মী
ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী যাদের মাসিক নির্দিষ্ট ইনকাম স্থায়ী নয়, তাদের জন্য সুবিধা করে দেওয়া। এই প্রকল্পের আবেদনের কিছু নিয়ম রয়েছে। আপনি যদি এই নিয়মগুলি মানতে পারেন ও প্রকল্পের যোগ্য দাবিদার হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই এই স্কিমের মাধ্যমে আপনি প্রতিমাসে ৩ হাজার টাকা করে পেয়ে যাবেন। রিপোর্ট বলছে, এখনো পর্যন্ত দেশের প্রায় দুই কোটি মানুষ এই প্রকল্পের থেকে সুবিধা পাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকার তাদের সবাইকে মাসিক নূন্যতম আর্থিক সাহায্য প্রদান করে থাকে।
A) কেন্দ্রের ই শ্রম কার্ড প্রকল্পে আবেদনের শর্তগুলি কী কী?
i) প্রকল্পে আবেদনের জন্য আবেদনকারীকে অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, অথবা ভাগ চাষী এই ধরনের ফিল্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। আবেদনকারীর মাসিক ইনকাম তুলনামূলক
কম হতে হবে।
ii) এই প্রকল্পে আবেদনের জন্য আবেদনকারীর বয়স অন্ততপক্ষে ১৬ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৫৯ বছর পর্যন্ত হতে হবে।
iii) যে সকল ভারতীয় নাগরিক নিয়মিত আয়কর জমা দেন, তারা এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হবেন না। আবেদনকারী যদি EPFO, ESIC মেম্বার হন তবে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
B) ই শ্রম কার্ড প্রকল্পের সুবিধাগুলি কি কি?
i) কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পে যারা আবেদন করবেন ও যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন, তারা ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ার পরে প্রত্যেক মাসে নিশ্চিত ৩০০০ টাকার পেনশন পেয়ে যাবেন।
ii) এই প্রকল্পে ই শ্রম কার্ডের মালিকেরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুবিধা পেয়ে যান। যেখানে দেশের একজন নাগরিকের পাকা বাড়ি বা স্থায়ী আবাস তৈরি করে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।
iii) ই শ্রম কার্ডের মালিক পুরুষ ও মহিলা উভয় হতে পারবেন। যদি মহিলা গর্ভবতী হন, তিনি কাজ করার উপযুক্ত না হন তাহলে সরকার সেই পরিবারকেও প্রতিমাসে নিশ্চিত বেতন প্রদান করবে।
iv) এই কার্ডের মালিকেরা সন্তানের পড়াশোনার জন্য সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য পাবেন। শুধু তাই নয়, এই কার্ডের মালিকদের নাম উঠে যায় প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনায়। যেখানে একজন ই শ্রম কার্ড এর মালিক দুর্ঘটনাগ্রস্ত হলে সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য পান।
v) এই প্রকল্পের নাম থাকার কোন ব্যক্তি যদি হঠাৎ প্রাণ হারান, সম্পূর্ণভাবে বিকলাঙ্গ হয়ে যান, তবে সেই পরিবারকে ঠিকভাবে ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। আর যদি ব্যক্তি আহত হন তাহলে এক লক্ষ টাকার বিবা সুবিধা পান সেই ব্যক্তির পরিবার।
C) ই শ্রম কার্ড প্রকল্পে আবেদনের জন্য কোন কোন ডকুমেন্ট লাগে?
এই প্রকল্পে যদি আপনি নাম তুলতে চান তাহলে আপনার যে যে ডকুমেন্ট লাগবে সেগুলি হল-
আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণ, মোবাইল নম্বর, রঙিন পাসপোর্ট সাইজ ছবি, ইত্যাদি।
D) ই শ্রম কার্ড প্রকল্পে আবেদন জানাবেন কিভাবে?
i) এই প্রকল্পের নাম নথিভুক্ত করতে হলে প্রথমেই যান প্রকল্পের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। তারপর সেখান থেকে নিউ রেজিস্ট্রেশন অপশনে ক্লিক করুন।
ii) এরপর ‘রেজিস্ট্রেশন ই-লেবার’ অপশনে ক্লিক করতে হবে ও নিজের আধার যুক্ত মোবাইল নম্বরটি লিখতে হবে। তারপর ক্লিক করুন সেন্ড
ওটিপি অপশনে।
iii) এরপর আপনি স্ক্রিনে আবেদন পত্র দেখতে পাবেন। অ্যাপ্লিকেশন ফর্মটি সঠিক তথ্য দিয়ে
নির্ভুলভাবে পূরণ করুন, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করুন ও সবশেষে সাবমিট করে দিন।