বিদ্যুতের বিল কমাবেন কিভাবে? রইল ৫টি সেরা টিপস

এই পাঁচ টিপস মানলেই বিদ্যুতের বিল হাফ হয়ে যাবে! ফ্রিজ, এসি, কুলার চালালেও মোটা টাকার বিল দিতে হবে না। গরম পড়তেই ঘরে ঘরে ফ্রিজ, এসি, কুলারের মত‌ যন্ত্র চালানোর ধুম শুরু হয়েছে। তাপমাত্রার পারদ যেভাবে বাড়ছে, তাতে অতিরিক্ত গরমে শুধুমাত্র ফ্যান চালিয়ে দিন ও রাত্রি কাটানো সম্ভব নয়। এক সময় ছিল, যখন কেবলমাত্র ফ্যানের হাওয়া তে কেটে যেত মধ্যবিত্তের গরম। কিন্তু ইদানিং সে পরিস্থিতি বদলেছে। পারদের কাছে হার মেনেছে মধ্যবিত্তের জীবন যাপন। এখন এসি কুলার ছাড়া‌ গরমে তিষ্টনো সম্ভব নয়।

এদিকে মধ্যবিত্তের কপালে ভাঁজ পড়ছে বিদ্যুতের বিল দেখে। ‌অতিরিক্ত বিদ্যুতের বিল দিতে গিয়ে কার্যত পকেট ফাঁকা হওয়ার জোগাড়।‌ মাস গেলে যে ইলেকট্রিসিটি বিল আসছে, তা দেখে মাথা ঘুরে যাচ্ছে সবার। অনেক টাকা জমিয়ে স্বল্পদামের মধ্যে ভালো মানের এসি কিনে ঘরে আনছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু সারারাত এসি চালিয়ে রাখলে যে বিদ্যুতের বিল আসছে, তার ফলে সংসার চালিয়ে আরাম করা যেন অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‌প্রত্যেক মাসে ইলেক্ট্রিসিটি বিল আসার আগেই চিন্তায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। ‌এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে সহজ কিছু টিপস চাইছেন তাঁরা।

এখন প্রায় ঘরে ঘরেই এসি, ফ্রিজের মত যন্ত্র‌গুলি আধিপত্য বিস্তার করেছে। যত দিন যাবে তত এই যন্ত্রগুলির ব্যবহার আরও বাড়বে বলেই ধারণা। গরমে ঠান্ডা জল খাওয়া, এক বিন্দু এসির হাওয়া খেতে কাল ঘাম ছুটছে বিল দেখে। লাফিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের বিল। ‌গরম যত বাড়বে, গরম থেকে রেহাই পাওয়ার যন্ত্রপাতির কদরও বাড়বে।‌ এরই সঙ্গে বিদ্যুতের বিল ক্রমশ উর্ধ্বমুখী হতে থাকবে। ‌মধ্যবিত্তের চিন্তা কমাতে আমরা হাজির করলাম পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস, যা মেনে চললে কমবে আপনার বিদ্যুতের বিল। অবাক হচ্ছেন বুঝি? চিন্তা নেই, মন দিয়ে পড়ে নিন আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে। আপনাদের সুবিধার্থে আমরা পাঁচটি টিপস আলোচনা করব যাতে আপনি গরমে এসি, ফ্রিজ, কুলার চালালেও আপনার মাস গেলে চড়া হারে বিদ্যুতের বিল আসবে না। তাহলে আর দেরি কেন? চলুন চটপট জেনে নেওয়া যাক কিভাবে আমরা কমাতে পারি ইলেক্ট্রিসিটি বিল।

ইলেকট্রিসিটি বিল কমানোর সেরা পাঁচ উপায়

১) প্রথম টিপস

গরমকাল কেন সারা বছরই মানুষের একটা স্বভাব হলো ফাঁকা ঘরে ফ্যান ও লাইট জ্বালিয়ে রাখা। দিনের বেলায় আলো থাকলেও অনেকের বাড়িতেই লাইট জ্বালিয়ে রাখা হয়। আর এটাই অতিরিক্ত বিদ্যুতের বিল বাড়িয়ে দেয়। আবার অনেক সময়ই দেখা যায় কেউ হয়তো ঘরে নেই, তাও ক্রমাগত চলছে পাখা, জ্বলছে লাইট। আপনি যদি বিদ্যুতের বিল কমাতে চান, তাহলে আপনাকে একটু সচেতন হতে হবে। ফাঁকা ঘরে কখনোই ফ্যান ও লাইট জ্বালিয়ে রাখবেন না। শুধু তাই নয়, চেষ্টা করুন দিনের বেলা লাইট না জ্বালাতে। প্রয়োজনের চাইতে কম ইলেকট্রিসিটি ব্যবহার করলে, মাসের শেষে আপনার বিদ্যুতের বিল অবশ্যই কম হবে।

২) দ্বিতীয় টিপস

সাধারণত সবার বাড়িতে আরো একটি বিষয় দেখা যায়, সেটি হল সুইচ বোর্ডে ফোন অথবা ল্যাপটপের চার্জার চার্জ দেওয়ার পরেও তা সুইচ বোর্ড থেকে সরেনা। আপনি যদি এরকম করে থাকেন, তাহলে জানুন অনেক বড় ভুল করছেন।‌ এতেও কিন্তু আপনার বিদ্যুতের বিল বাড়ছে। যদি আপনার ফোন অথবা ল্যাপটপ চার্জ দেওয়া হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই চার্জার রিমুভ করুন সুইচ বোর্ড থেকে। যদি না করেন, তাহলে কিন্তু বিদ্যুতের বিল নিঃসন্দেহে বাড়বে। ‌এক্ষেত্রেও আপনাকে সচেতন হতে হবে।

৩) তৃতীয় টিপস

টিভি কম বেশি আমাদের সবার বাড়িতেই রয়েছে।‌ দিনে রাতে টিভি দেখার অভ্যাস রয়েছে সবারই। তবে টিভি চালিয়ে কখনো ভুলে গিয়েছেন? অথবা পরে দেখবেন বলে মেন সুইচ অফ করেননি? এটা কিন্তু ভীষণ বড় ভুল। অনেক সময় দেখা যায়, রিমোট দিয়ে টিভি বন্ধ করা হলেও সুইচ থেকে অফ করা হয়নি টিভি। আর এটাই আপনার অজান্তে বিদ্যুতের বিল চড়া করে দিচ্ছে। তাই যদি টিভি দেখা হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে সুইচ অবশ্যই অফ করুন। মেইন সুইচ থেকে অফ করে দিন টিভি। টিভিতে কোনদিন স্ট্যান্ডবাইতে রাখবেন না। এতে বিদ্যুৎ খরচ হয়। অপ্রয়োজনীয়ভাবে বেড়ে যায় আপনার ইলেক্ট্রিসিটি বিল।

৪) চতুর্থ টিপস

গরম পড়ছে বলে এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করার পরিমাণও বাড়ছে। ঘর ঠান্ডা রাখতেই আপনি প্রায়শই ব্যবহার করছেন এসি মেশিন। ভাবছেন এসি থেকে আপনার প্রচুর টাকার বিল আসছে। এদিকে এসি বন্ধ করেও গরমে থাকা সম্ভব নয়।‌ তাহলে এখন উপায়? এক্ষেত্রে আপনি একটা কাজ করতে পারেন। চেষ্টা করুন এসিকে ২০ থেকে ২৬ ডিগ্রিতে রাখার। যাতে এটি সময় সময় বন্ধ হয়ে যায়, আপনার ঘরের শীতলতা বজায় থাকে আবার বিদ্যুতের বিলও তুলনামূলকভাবে কম আসে।

৫) পঞ্চম টিপস

এ সমস্ত অ্যাপ্লায়েন্সে ফাইভ স্টার রেটিং করা থাকে, সেগুলি অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্টার-রেটিং যুক্ত অ্যাপ্লায়েন্স ব্যবহার করে আপনি অনেক বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারেন। ৫ স্টার রেট যুক্ত পণ্যগুলিতে আপগ্রেড করলে বিদ্যুৎ খরচ কমে যেতে পারে প্রায় ৪০ শতাংশ। আপনি যদি ফাইভ স্টার রেটিং যুক্ত এসি কেনেন তাহলে আপনি মোটামুটি প্রায় ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ বাঁচাতে পারবেন।

Leave a Comment