Parenting Tips – চঞ্চল সন্তানকে শান্ত, নম্র ও ভদ্রতা শেখাবেন কিভাবে? জেনে নিন সহজ উপায়।

সন্তান সকলেরই আদরের জিনিস। কিন্তু তাদের সঠিকভাবে বড় করার জন্য প্রয়োজন হয় কিছু Parenting Tips এর। পৃথিবীতে কোন বাবা-মার কাছেই তার সন্তান ফেলনা হয় না। তাই বলে কোন বাবা বা মা যদি তার সন্তানকে কেবল ভালোই বেসে যান, তাহলে তিনি তার দোষ ত্রুটিগুলি কিন্তু দেখতে পাবেন না। এক্ষেত্রে বিপথগামী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেই সন্তানের। অন্যদিকে আবার দেখতে গেলে কোন বাচ্চাকে যদি তার বাবা-মা দিনরাত শাসনই করে যায় তাহলেও কিন্তু জেদি এবং বদ স্বভাবের হয়ে উঠতে পারে সেই সন্তান। তাহলে সে ক্ষেত্রে কি করার? আমরা আপনাকে বলবো, (Parenting Tips) সন্তানকে ভালোবাসুন কিন্তু প্রয়োজনে তার প্রতি কঠোর হতেও শিখুন।

Parenting Tips – সন্তানকে কিভাবে ভদ্রতা, নম্রতা, সভ্যতা শেখাবেন? জেনে নিন

এই দুইয়ের সমতা যখন আপনি বজায় রাখতে পারবেন তখনই আপনার সন্তান প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠবে। এ বিষয়ে আপনি কিছু সহজ পদ্ধতি জেনে নিতে পারেন (Parenting Tips) যে কিভাবে আপনার সন্তানকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। নিচে এই সমস্ত পদ্ধতিগুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।অনেকেই নিজের বাচ্চাকে নিয়ন্ত্রণ করতে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে থাকেন। কিন্তু আমরা আপনাকে বলব এসবের কোন দরকার নেই।

আপনার বাচ্চাকে আপনি নিজেই নম্র ভদ্র এবং শান্ত স্বভাবের করে তুলতে পারেন সহজেই। তার জন্য দরকার আপনার সন্তানের প্রতি একটু খেয়াল রাখা। তাদের সঙ্গে বন্ধুর মতো আচরণ করতে শেখা। যাতে তারা আপনার আশ্রয় সুখ লাভ করে। এই অবস্থায় সন্তানদের সঠিক শিক্ষা দেওয়া (Parenting Tips) খুবই সহজ হবে।বাচ্চারা স্বভাবগতভাবে জেদি এবং অবুঝ প্রকৃতির হয়। তাদেরকে আপনি যেমন ভাবে মানুষ করবেন তেমনটাই তারা মানুষ হবে।

ছোট থেকে তারা যদি চারপাশে ভালো পরিবেশ দেখে, বিশেষ করে তার মা-বাবাকে যদি সে সৎ এবং নীতি নিষ্ঠ হতে দেখে তাহলে সেই বাচ্চা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই শিখে যাবে চরিত্রের বিভিন্ন সৎ গুনগুলি। অন্যদিকে একটি বাচ্চা যদি তার বাবা মাকে অসৎ এবং জটিল মনের হতে দেখে তাহলে সেই বাচ্চাও কিন্তু ছোট থেকে অসৎ প্রকৃতির হবে। তাই আপনার সন্তানকে কেমন মানুষ করবেন সেটা নির্ভর করছে সবার আগে আপনার ওপর এই।

প্রথমে আপনি নিজে ভাল হন। দেখবেন আপনার সন্তান আপনার দেখেই খানিকটা ভালো স্বভাব রপ্ত করতে পেরেছে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে আর বেশি ঝক্কি পোহাতে হবে না আপনার সন্তানকে ভালোভাবে মানুষ করতে। এরপর আপনি সাহায্য নিতে পারেন বিভিন্ন পদ্ধতি (Parenting Tips) যেগুলির মাধ্যমে সহজে আপনি আপনার সন্তানকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন। নিচে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো।

Visa On Arrival – বড় বদল হেনলি পাসপোর্ট ইন্ডেক্সে! বিনা ভিসাতেই ৫৭ দেশ ভ্রমণের সুযোগ

সদ্ব্যবহার

উপরেই বলা হয়েছে যে পিতা মাতার থেকে সন্তান তার জীবনের বেশিরভাগ শিক্ষার অংশটুকু লাভ করে। তাই পিতা মাতাই যদি অসৎ বা জটিল প্রকৃতির হন তাহলে সেই সন্তানকেও কু পথে যাওয়ার থেকে কেউ আটকাতে পারবেনা। বাচ্চারা হয় তোতা পাখির মত। তারা যা দেখে যা শুনে, তাই করে বা বলে (Parenting Tips).

তাই আপনি যদি মনে করে থাকেন যে নিজে না বদলে আপনার সন্তানকে বদলাবেন সেটা কিন্তু কোনভাবেই সম্ভব নয়। আপনার বাচ্চার দুরন্ত এবং কুস্বভাব পরিবর্তন করতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে সৎ এবং নিষ্ঠাবান হয়ে উঠতে হবে। আপনাকে সকলের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা শিখতে হবে। আপনাকে নীতি-নিষ্ঠতা অবলম্বন করতে হবে সবসময়। তবে আপনার সন্তানও জীবনে সৎ এবং আদর্শবান হয়ে উঠবে।

সদ্ব্যবহারের প্রশংসা

সন্তানরা শুধুমাত্র সদ্ব্যবহার করলেই তাদের স্বভাব পরিবর্তন হয় না। আপনি বাবা মা হয়ে আপনার সন্তানদের প্রতিটি সুকর্মের প্রশংসা করতে শিখুন। তাকে ভবিষ্যতে এরকম আরো সুকর্মের জন্য উৎসাহিত করতে চেষ্টা করুন। আপনার সন্তান তাতে অনেকটা আনন্দ পাবে এবং আগামী দিনে আরো ভালো হয়ে ওঠার চেষ্টাও করবে।

একটি বাচ্চা যদি কোন ভাল কাজ করে কিন্তু তার চারপাশে দুর্জনেরা তাকে ক্রমাগত নিন্দা করতে থাকে, বা তার কর্মের জন্য তাকে ভর্ৎসনা করে, তবে সেই সন্তান কিন্তু বাধ্য হবে সুপথে এসেও কুপথে চলে যেতে। তাই সর্বদা নিজের সন্তানের প্রতি যত্নবান হন। তার সুকর্মের জন্য তাকে কৃতিত্ব দিতে শিখুন। তবেই সে ভবিষ্যতে এরকম কাজ আরো করবে (Parenting Tips).

ভুলের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া

সন্তানদের সদ্ব্যবহারের যেমন প্রশংসা করবেন তেমনি ভুল হলেও তাদেরকে শাসন করতে শিখুন। তবে তাদের ভুলের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে এই কাজ করুন। আপনি যদি আপনার সন্তানের কৃতকর্মের জন্য তাকে বকাঝকা করেন বা মারধর করেন সে ক্ষেত্রে কিন্তু সন্তান আরো বেশি জেদি এবং কুচরিত্রের হয়ে উঠতে পারে। তাই আপনার সন্তান ভুল করলে তাকে ঠান্ডা মাথায় সেই ভুলটি বোঝানোর চেষ্টা করুন।

ভবিষ্যতে সে যাতে আর এরকম না করে সেই বিষয়ে সতর্কতা দিন। তার ভুলের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে তাকে সুপথে আনার চেষ্টা করুন। বর্বরতার সঙ্গে নয়। এভাবে আচরণ করলে আপনার সন্তান অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে আপনার কাছে। ফলে এই অবস্থায় তাকে প্রভাবিত করলে সে সহজেই সৎ হয়ে উঠতে পারবে (Parenting Tips).

মানসিক চাপ উপশমের জন্য ১০ টি প্রাকৃতিক উপায়, টেনশন এবার বিদায় নেবে।

নম্রতা এবং কৃতজ্ঞতা বোধ শেখানো

বিনম্রতা এবং কৃতজ্ঞতা হল ব্যক্তির চরিত্রের একটি অন্যতম প্রধান সদগুণ। যে ব্যক্তি (Parenting Tips) বিনম্র, যার অহংকার নেই, যে নিজে ভুল করলে ক্ষমা চাইতে জানে সে সর্বত্র সমাদ্রিত হয়। অন্যথায় অহংকারী, দাম্ভিক, যে ভুল করেও গলা উঁচু করে কথা বলে সে কিন্তু সর্বত্র ঘৃণার পাত্র হয়। তাই সন্তানকে ভবিষ্যতে একজন সৎ ব্যক্তি করে তুলতে চাইলে ছোট থেকেই তাকে নম্রতা এবং কৃতজ্ঞতা বোধ শেখান।

সে যেন কোন বিষয় নিয়ে কখনো অহংকার না করে। ভুল করলে যেন তার জন্য ক্ষমা প্রার্থী হতে শেখে। অথবা লোকের প্রতি কৃতজ্ঞতা বোধ সম্পন্ন হয়। আপনি নিজেও তার সামনে এরকমই আচরণ করবেন। আপনার দেখে সেও একই শিক্ষা পাবে (Parenting Tips).

সহানুভূতি বোধ শেখান

মানুষের বিপদের সময় বা তার দুঃখে সহানুভূতিশীল হওয়া ব্যক্তির চরিত্রের একটি বিশেষ সদগুণ। আপনার শিশুর মধ্যেও এই গুণের সঞ্চার ঘটান। তাদেরকে অন্য ব্যক্তির প্রতি সহানুভূতি (Parenting Tips) দেখাতে শেখান। শিশু যেন কারোর বিপদে বা দুঃখের সময় তাকে দুঃখ না দেয়। বরং সমবেদনা নিয়ে সেই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এগিয়ে যাওয়ার শিক্ষা দিন তাকে। এরকম চরিত্র হলে আপনার সন্তান সর্বত্র ভালোবাসা লাভ করবে। যা পিতা-মাতা হিসেবে আপনারও ভালো লাগবে।

শৃঙ্খলার মধ্যে রাখা

শিশুরা যত বড়ই হয়ে যাক না কেন তারা যেন বাবা মার নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায়। সে কারণে ছোট থেকেই আপনার বাচ্চার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে শিখুন। তাহলে দেখবেন বড় হয়েও সে আপনার নিয়ন্ত্রণাধীন থাকবে। ছোট থেকে সে কেমন মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করছে বা কেমন জিনিস দেখছে বা শুনছে সেসব দিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন। সে যেন কখনো দুর্জনদের সঙ্গে মেলামেশা না করে (Parenting Tips).

YouTuber দের সুখবর এবার থেকে 500 সাবস্ক্রাইবার হলেই টাকা পাবেন, সহজেই ভিডিও ভাইরাল করুন।

কোনরকম অশ্লীল বা খারাপ কিছু যেন সে তার চোখের সামনে ঘটতে না দেখে বা কাউকে বলতে না শোনে। আজকাল অনেক বাবা মাই তার সন্তানদের বাইরে ছেড়ে দিয়ে নিজেরা আনন্দে থাকে। কিন্তু সেখানে তাদের সঙ্গে কি ঘটছে সে খবর থাকে না তাদের কাছে। ফলে তার সন্তান বিপথে যেতে বাধ্য হয়। এছাড়াও বর্তমানে অনেক শিশুদেরই হাতে অল্প বয়স থেকে দিয়ে দেওয়া হয় মোবাইল ফোন বা ট্যাবলেট।

কিন্তু এর ফলে তার কতটা ক্ষতি হচ্ছে সে আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন না। সে যদি ছোট থেকে এই সমস্ত জিনিসের কুপ্রভাবে পড়ে তাহলে কোনভাবেই বিপথে যাওয়া থেকে তাকে আটকানো যাবে না। সেই কারণেই বলা হচ্ছে (Parenting Tips) নিজের সন্তানের দিকে বিশেষ নজর দিন। সে কি দেখছে বা কি শুনছে বা কেমন মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করছে সেদিকে খেয়াল রাখুন। সর্বদা দুজনদের বা কু জিনিসের প্রভাবের থেকে দূরে রাখুন তাদের।

Leave a Comment