যুগের সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীতে সব কিছুরই বদল ঘটে তেমনই বদল ঘটেছে Old Fashion Dresses এর। আপনি আজ থেকে দশ বছর আগে যে জিনিসটি ব্যবহার করেছেন এখন আর সেটির আমল নেই। তাই স্বাভাবিকভাবেই নতুন জিনিস ব্যবহার করা শুরু করেছেন আপনি এখন। ঠিক এরকমটাই হয় পোশাকের ক্ষেত্রেও। দশ-পনেরো বছর আগে (Old Fashion Dresses) যে পোশাকগুলো বিপুল জনপ্রিয় ছিল এবং সকলকে স্টাইলিশ দেখাতো পড়ে সেই সমস্ত পোশাকগুলি আজ বাজারে আর পাওয়া যায় না। আসলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের চাহিদা কমেছে সেই সমস্ত পোশাকের উপর থেকে এবং তার জায়গা করে নিয়েছে বর্তমানে নতুন নতুন বিভিন্ন ড্রেস।
Old Fashion Dresses এর মেলবন্ধনে বাজারে এলো নতুন ড্রেস।
ফ্যাশনের ক্ষেত্রে ফিউশন কথাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসলে যুগ যুগ ধরে পুরনো সঙ্গে নতুনের মেলবন্ধনে চলে আসে বিভিন্ন রকম ড্রেসের বাহার। সেই কারণেই অনেক পুরনো পুরনো পোশাক (Old Fashion Dresses) কেউ দেখা যাবে হালে আবার ফিরে আসতে। যেমন ষাট কিংবা সত্তরের দশকের অনেক ফ্যাশন জায়গা করে নিচ্ছে নতুনভাবে। পোশাকের হাতায় এবং গলার ডিজাইনে ঝালর লাগানো হোক কিংবা কুঁচি দেওয়া, জনপ্রিয় ঢিলেঢালা প্লাজো সেলোয়ার সবই কিন্তু Old Fashion Dresses, যা নতুনরূপে নতুন যুগের মানুষের কাছে ফিরে এসে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
তবে নারীর পোশাকে এই ফিউশন একটু বেশিই দেখা যায়। আমাদের দেশে পাশ্চাত্য ঘটনার সঙ্গে দেশী ডিজাইনের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বেশিরভাগ ড্রেস প্রস্তুত করা হয় নারীদের জন্য। একটা সময় ছিল যখন শুধু কিশোরী বা টিনেজারদের জন্য এসব পোশাক ডিজাইন করা এবং বানানো হতো। তবে এখন সময় পাল্টেছে। হাল ফ্যাশনের অংশ হতে চাইছেন প্রায় সব বয়সের নারীরাই ।
অনায়াসে মানিয়েও যাচ্ছে পেশা এবং দৈহিক অবয়বের সঙ্গে। মাঝবয়সী চাকরিজীবী নারীরাও আজকাল এগুলো নিজেদের স্টাইল হিসেবে বেশ পছন্দ করছেন। এই সমস্ত Old Fashion Dresses এবং নতুনের পোশাকের মেলবন্ধনে উঠে আসা পোশাকগুলি কিন্তু একেবারেই ফরমাল নয়। এগুলো রোজকার ফ্যাশন। পার্টি থেকে শুরু করে বিয়েবাড়িতে, বাজারে, কলেজে, অফিসে কিংবা কাজের জায়গায় সর্বত্রই ব্যবহারযোগ্য এসব পোশাক।
কাদা, রোদ, বৃষ্টি, ধুলো, ঘাম, ময়লা সব কিছু সয়ে যাবে এই পোশাকে। তবে ইনফরমাল মানে ভাববেন না এগুলি সাধারণ পোশাক। বরং এগুলি এতটাই ট্রেন্ডি, মানানসই এবং সেই সঙ্গে আরামদায়ক, যে হাজার হাজার জমকালো পোশাক কেও হার মানাতে পারে তা। এসব Old Fashion Dresses হতে পারে কুর্তি, কামিজ, স্কার্ট কিংবা ড্রেস।
তবে সময় যাই হোক না কেন এবং ড্রেসও যাই হোক না কেন, আমাদের দেশের বেশিরভাগ পোশাকের ডিজাইন নেওয়া হয় পশ্চিমি দেশের ডিজাইন গুলি থেকে। পোশাকে যদি পশ্চিমি ডিজাইন এর ছোঁয়া থাকে তা দেখতে অত্যন্ত ভালো লাগে আমাদের। বিশেষ করে এই পোশাকগুলিই বেশি জনপ্রিয় দেশীয় বাজারে। প্রায় সকল ধরনের পোশাকের ডিজাইনেই পাওয়া যাবে এই ইন্দো-ওয়েস্টার্ন ছোঁয়া।
Driving Licence – মাত্র 4 ঘন্টায় পাবেন ড্রাইভিং লাইসেন্স, সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি সবাই।
এরকমই একটি দেশীয় এবং পশ্চিমি ডিজাইনের মেলবন্ধনে তৈরি পোশাকের নতুন আয়োজন হচ্ছে লিপি খন্দকারের সিগনেচার কালেকশন ‘ব্লু-টি-ফুল’। গ্রে, নীল এবং তার কাছাকাছি ধরনের রং প্রাধান্য পেয়েছে এ পোশাকগুলোতে। যেমন- নীল, আকাশি, গ্রে, কালচে নীল ইত্যাদি। এছাড়াও রয়েছে মেরুন এবং সবুজের বিভিন্ন শেডও।
দেশীয় এবং পশ্চিমী নকশার মেলবন্ধন:-
ফিউশন কথার অর্থ হচ্ছে মেলবন্ধন। তবে পোশাকের ক্ষেত্রে বিষয়টি হলো এক ডিজাইনের সঙ্গে অন্য ডিজাইনের। আমরা ভারতীয়রা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ethnic পোশাক পড়তেই বেশি পছন্দ করি। যেমন ছেলেরা পাঞ্জাবি পাজামা এবং মেয়েরা শাড়ি চুরিদার ইত্যাদি। আসলে এগুলি হলো আমাদের কাছে ঐতিহ্যবাহী পোশাক। তবে দেশি ওই সমস্ত পোশাকেও আজকাল দেখা যায় পাশ্চাত্যের ছোঁয়া।
Old Fashion Dresses And New Fashion Dresses মেলবন্ধন এমনভাবে ঘটানো হয় যা আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে সকলের কাছে। যেমন- কুর্তি কিংবা ড্রেসের গলার নকশা হিসেবে নিয়ে আসা হচ্ছে শার্টের কলারের ডিজাইন। ওয়াইড স্লিটেড প্যাটার্ন বেশ জনপ্রিয়। ফ্রক স্টাইলের ড্রেসগুলোর সামনের দিকে থাকছে পকেট। লেয়ার্ড স্টাইল কুর্তি, কলিদার কুর্তি, পঞ্চ ধাঁচে ডিজাইন করা ড্রেস-এগুলো সবই পশ্চিমি নকশার ধরন। জামার হাতার কোনোটা ডিভাইডার, তো কোনোটাতে বোতাম দিয়ে নকশা করা।
আছে অফ শোল্ডার টপস এবং ড্রেসও। ফ্রক স্টাইলের ড্রেসগুলোও বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে আজকাল। উৎসব থেকে শুরু করে প্রতিদিনকার জীবনে একটু জমকালো লুক আনতে ওভার লেয়ার ফ্রকের জুড়ি মেলা ভার। তবে ইদানীং ওভার লেয়ার ফ্রকের চাইতেও ফিশ কাট এবং কাবুলি ডিজাইনের ফ্রকের চাহিদা বেশি। এসব পোশাক শুধু Old Fashion Dresses হিসেবে হোক কিংবা প্লাজো, ডেনিম, লেগিংস, সিগারেট সালোয়ার কিংবা সিগারেট স্টাইলের প্যান্ট সব কিছুর সঙ্গে মানিয়েই পরা যায়। দেখতেও বেশ সুন্দর এবং ফ্যাশনেবল।
LPG Cylinder Price – রান্নার গ্যাসে 400 টাকা ছাড়, মাত্র 750 টাকায় এইভাবে গ্যাস সিলিডার বুক করুন।
কমফরটেবেল পোশাকের চাহিদা:-
জামাকাপড় যত স্টাইলিশই হোক না কেন, তা যদি পড়ে কোনোরকম অস্বস্তি হয় তবে তা আর দাম পায় না। বিশেষ করে তা যদি নিত্য প্রয়োজনীয় পোশাক হয় তাহলে তো বেশি। তাই পোশাক কেনার আগে সকলেই বিচার করেন তার আরামবোধ। একটি পোশাকে গায়ে পড়ে কে কতটা সাচ্ছন্দ বোধ করছেন, কতটা freely চলাফেরা করতে পারছেন তার ওপরে ই নির্ভর করে পোশাকের চাহিদা (Old Fashion Dresses).
ফ্যাশন ডিজাইনাররাও বিষয়টিকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন। ডিজাইনার লিপি খন্দকার বলেন, “রোজকার ব্যবহারের জন্য খুবই আরামদায়ক করে তুলতেই এসব Old Fashion Dresses গুলিকে দেশীয় এবং কটন অর্থাৎ সুতি ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করা হয়, যাতে এসব পোশাক একটি ক্লান্তিকর ব্যস্ততার দিনেও যে কাউকে একটি ফ্রেশ লুক এনে দিতে পারে। “বিভিন্ন আরামদায়ক কাপড় যেমন রেয়ন, সিল্ক, পিওর সুতি, লিনেন, স্যাটিনের মতো আরামদায়ক কাপড়ের চাহিদা বাজারে অত্যন্ত বেশি”।
কারণ এই সমস্ত কাপড় দিয়ে তৈরি পোশাক অত্যন্ত স্বচ্ছন্দ বোধ করেন সকলে পড়ে। এই সমস্ত পোশাকের ওপরেও বিভিন্ন ফুল পাতা জাতীয় ফ্লোরাল প্রিন্ট বা অন্যান্য পশ্চিমি ডিজাইনের ছোঁয়া থাকে। ফলে দেখতে মনগ্রাহী হয়ে ওঠে তা। এখন শীতকাল আসন্ন। কাজেই এখন একটু মোটা কাপড় বেছে নিতে অসুবিধার কিছু নেই। তবে সব ঋতুতে পরার জন্য আরামদায়ক কাপড় বেছে নেওয়াই ভালো (Old Fashion Dresses).
পোশাকের সঙ্গে মানানসই অলংকার:-
কেবল পোশাক পড়লেই তো আর হলো না। পোশাকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিজেকেও সাজিয়ে তুলতে হবে তেমনভাবে। তবেই পোশাক মানাবে আপনার গায়ে। এজন্য দরকার বিভিন্ন রকমের মানানসই অলংকার। তবে সব অলংকার কিন্তু সব পোশাকের সঙ্গে মানায় না। তাই বেছে বেছে ব্যবহার করাটাই ভালো। পোশাকের সঙ্গে সঙ্গে গহনার ক্ষেত্রেও কিন্তু এসেছে ফিউশন (Old Fashion Dresses).
শুধু আগেকার দিনের একঘেয়ে কানপাশা বা গলায় মোটা হাড় নয়। নিত্য নতুন পোশাকের সঙ্গে এসেছে বিভিন্ন নতুন ডিজাইনের গয়নার ভান্ডারও। এসব আধুনিক গয়নাগুলি এদিকে যেমন দামে সস্তা, তেমনি অন্যদিকে হালকা ওজনের হয়। ফলে সমর্থ্য এবং স্বাচ্ছন্দ দুটোতেই মানিয়ে যায় তা। যেমন ধরুন আজকাল বেরিয়েছে অক্সিডাইস জুয়েলারি। এগুলি নাতো বিরাট দামি না তো ওজনের ভারী (Old Fashion Dresses).
যে পোশাকের সঙ্গেই আপনি পড়ুন না কেন যে কোন অনুষ্ঠানেই আপনি পড়ুন না কেন সর্বত্রই মানিয়ে যাবে এগুলি। যে সমস্ত ফিউশন ডিজাইনের পোশাকের কথা এখানে বলা হয়েছে সেগুলি সঙ্গেও যে কোন ধরনের গয়না ব্যবহার করতে পারেন আপনি। কোনটাই দেখতে খারাপ লাগবে না। যেমন আধুনিক ওয়েস্টার্ন ধাঁচের টার্সেল দেওয়া দুল থেকে শুরু করে ঝুমকা সবটাই অনায়াসে মানিয়ে যায় এই সমস্ত (Old Fashion Dresses) পোশাকের সঙ্গে।
মানিয়ে যায় কড়ি, পুঁতি- এমনকি কাঠ এবং মাটির তৈরি গহনাও। গহনায় ফিউশন নিয়ে আসছে তামার সঙ্গে পুঁতির মিশেল কিংবা তামার সঙ্গে মুক্তার মিশেলে তৈরি গহনাগুলো। আপনার ফিউশন পোশাকটির সঙ্গে মিলিয়ে পরে নিন পছন্দের গহনা। অফিসের সাজে পরে নিতে পারেন ছোট্ট তামা এবং মুক্তার তৈরি টপটি। কিংবা খানিকটা ঝোলানো কোনো দুল। বন্ধুদের আড্ডায় তামা বা জার্মান সিলভারে তৈরি একটি ঝুমকা, হাতে সেই গহনার সঙ্গে মিলিয়ে কোনো একটি ব্রেসলেট।
কোথায় পাবেন? কেমন দাম?
আপনি অনলাইনে অর্ডার করতে পারেন এ সমস্ত পোশাক। flipkart, amazon এ সব সময়ই হাল ফ্যাশনের বিভিন্ন ড্রেস উঠে থাকে। যেগুলি দামে সস্তা এবং সর্বত্র পরিধানযোগ্য। এখান থেকে সহজেই আপনি ক্রয় করে নিতে পারেন আপনার পছন্দের ফিউশন কুর্তি, সালোয়ার কামিজ এবং ড্রেস ইত্যাদি। এছাড়াও যে কোনো ফ্যাশন হাউসের শোরুমেও সরাসরি গিয়ে আপনি কিনতে পারেন এসব (Old Fashion Dresses) পোশাক।
বিয়ের মরশুমে সুন্দর ত্বক পেতে চান তাহলে এই ছোট্ট নিয়মগুলি মেনে চলুন।
এর মধ্যে রয়েছে ট্রেন্ডস, প্যান্টালুনস, আজিও ইত্যাদির মতো বড়ো বড়ো শোরুম। এই সমস্ত স্থানে ভ্যারাইটি রকমের পোশাকের সংগ্রহ থাকে। ফলে আপনি আপনার পছন্দমত যে কোন (Old Fashion Dresses) পোশাক বেছে নিতে পারেন এখান থেকে। এবার আসি দামের কথায়। সাধারণত এই সমস্ত পোশাকের দাম শুরু হয় ১ হাজার ৫০০ টাকা বা ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে। কাপড় এবং নকশার ভিত্তিতে দাম ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্তও যেতে পারে।